বরিশাল অঞ্চলে জেলা মহাসড়কের প্রশস্ততা বাড়িয়ে মান বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য ৬৬৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বরিশাল সড়ক জোনের আওতাধীন ৬টি জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলা সদরের বিভিন্ন অংশের সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সময় সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। একই সঙ্গে ১৭ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকার ১৫টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, পরিবহন সেক্টরে সরকারের অবকাঠামো উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে মাওয়া পয়েন্টে নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু ও পায়রা বন্দর চালু হলে সওজের আওতাধীন সড়ক নেটওয়ার্কের অর্থনৈতিক গুরুত্ব আরও বাড়বে। সেই সঙ্গে সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনের সংখ্যা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে। এ অবস্থায় বরিশাল সড়ক জোনের আওতাধীন গুরুত্বপূর্ণ জেলা মহাসড়কগুলোর মধ্যে অপ্রশস্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর সওজের ডিজাইন স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীত করা প্রয়োজন।
প্রকল্পগুলো যেসব জেলায় বাস্তবায়িত হবে সেগুলো হচ্ছে- বরিশাল, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী এবং পিরোজপুর। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বরিশাল সড়ক জোনের আওতাধীন ৬টি জেলা সদরের সঙ্গে উপজেলা সদরের বিভিন্ন অংশের সুষ্ঠু, নিরাপদ ও সময় সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। প্রকল্পটি চলতি বছর থেকে ২০২০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর।
একনেকের আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হলো ‘পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড নেটওয়ার্কের পরিবর্ধন এবং ক্ষমতায়ন’ প্রকল্প। দেশের পূর্বাঞ্চলের ৩৫ উপজেলায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দিতে ৫ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা ব্যয় করবে সরকার। পূর্বাঞ্চলে সঞ্চালন লাইন সময়োপযোগী করে নিশ্চিতভাবে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার জন্যই এ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে, অনেক সময় বেশি লোড পড়লে বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটে। এসব ঘটনা যাতে না ঘটে সেই লক্ষ্যেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ১২ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন, ১৭৫ কিলোমিটার ২৩০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হবে।
এছাড়াও ৪০০ কেভি দু’টি সাব স্টেশন ও ২৩০ কেভি দু’টি সাব স্টেশন নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ৮৬ একর ভূমি অধিগ্রহণের পাশাপাশি এক লাখ ১৫ হাজার ঘনমিটার ভূমি উন্নয়ন করা হবে। বৃহত্তর কুমিল্লা, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা এবং ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান।