নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম: তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচার হীনতার ৫ বছর কর্মসূচীর চুতুর্থ দিনের সমাবেশে রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব পঙ্কজ ভট্টাচার্য ত্বীর হত্যার বিচার দাবি করে বলেছেন, সারা বিশ্বের আর কোথাও ত্বকী হত্যার বিচারের আন্দোলনের মত লাগাতার আন্দোলন আর হয়নি। সে লাগাতার আন্দোলনটাকের মুক্তিযুদ্ধের ধারায় জনগনের আন্দোলনে পরিনত করার কাজটা চলছে দেখে শাসক গোষ্ঠি ক্ষিপ্ত। সে কারনে ত্বকী হত্যার বিচার বন্ধ করতে অঘোশিত ইনডেমনিটি, অঘোশিত প্রতিবন্ধকতা বিচার ব্যাবস্থার উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, যাতে বিচার না হয়। এটা দুঃখজনক, জাতি এটা মেনে নেবে না । অতিেিত কখোনো মেনে নেয়নি। শুক্রবার বিকেলে নগরীর ২ নং রেল গেইট এলাকায় সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব রফিউর রাব্বি’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রখেন, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, সাংকৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি প্রদীপ ঘোষ, নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলন সমন্বয়ক তরিকুল সুজন, এ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে নগরীর ২ নং রেল গেইট এলাকা থেকে একটি মিছিল বের করে বঙ্গবুন্ধ সড়ক প্রদক্ষিন করে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
সামাবেশে রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব পঙ্কজ ভট্টাচার্য আরো বলেন, অত্যন্ত মেধারী নিশপাপ একটি শিশু ত্বীক হত্যা সহ দেশের শিশু হত্যা এটা রাজনৈতি বিচ্ছিন্ন কোন ঘটনা না। এটা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশটাকে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধি পক্ষের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য একটি পরিকল্পিত আক্রমন। সে আক্রমন চলছে। সে আগ্রমনের অংশ হিসেবে কমলমতি শিশুদের পাকিস্তানিকরন সম্প্রদায়িকিকরনের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। আমাদের দেশের দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনটাকে কণ্ঠরুদ্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিহ্নিত হত্যাকারীরা ত্বকীকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকান্ডের খসরা চার্জসীট গণমাধ্যমকে দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ত্বকী হত্যার বিচার করতেই হবে।
সমাবেশে, ত্বকী হত্যার বিচার রোধ করতে সবরকমের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। মৃত যখন কথা বলা শুরু করে কোন স্বাসক গোষ্ঠির সাধ্য নাই এর কণ্ঠ রোধ করে। ত্বকীকে হত্যা করে তার লাশ বস্তায় বন্দি করে শীতলক্ষ্য নদীতে ফেলে দিয়েছিল। খুনিরা মনে করেছিল এর মধ্যদিয়েই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু জীবীত ত্বকীর চেয়ে মৃত ত্বকী কতটা শক্তিধর এটা ঘাকত গোষ্ঠি ইতি মধ্যে বুঝেছে এবং সারা দেশবাশি এটি জেনেছে। এ ঘাতক গোষ্ঠি কতটা নৃশংষ। তাদের হত্যাকান্ডের ঘটনা জানলে আমরা বুঝতে পারি । তারা কত নৃশংষ নৃশংষভাবে হত্যা করে। এ খুনিরা আশিককে কি নৃশংষভাবে হত্যা করেছে। আশিকের মুখ এসিডে ঝলসে দিয়ে হত্যার পর তার লাশ শীতলক্ষা নদীতে ফেলেছে। ত্বকীর দুই চোখ উপরে ফেলেছে। ত্বকীকে গজারীর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করার পর। তার বুকের উপর চাপ দিয়ে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। ত্বকীর দেহের বিভিন্ন অংঙ্গপতঙ্গ তারা থেতলে দিয়েছে। তারা বুঝাতে চায়, তারা কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে কতটা নৃশংষ হতে পারে। যারা তাদের বিরুদ্ধে দাড়ায়, তাদেরকে বোঝানোর জন্য ও ভয় দেখাতে নৃশংষ ভাবে একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছে তাদের টর্চার সেলে। তারা হত্যা করবে, তারা চাঁদবাজি করবে, তারা মাদক ব্যাবসা করবে, এর বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারবে না। তারা প্রশাসন সরকারের সহযোগিতা নিয়ে জনগনের বিপক্ষে দাড়িয়ে এ সমব অপকর্ম করছে। যখন তাদের পিছনে প্রসান থাকে সরকার থাকে তখন তারা এ ধরনের কর্মকান্ড করে। কারন তারা জানে জনবিরোধি তাদের যে কার্যক্রম যদি পেছনে প্রশান না থাকে, সরকার না াকে তাহলে তাদের কুকুরের মত পিটিয়ে জনগন রাস্তায় মেরে ফেলফে। আর সরকার প্রশাসনের সর্মন নিশ্চিত হয়েই তারা নারায়ণগঞ্জের সাধারন মানুষের উপর সিন্দাবাদের ভুতের মত চেপে বসে।
এ সময় সমাবেশে ত্বকী হত্যার বিচার চেয়ে নারাণগঞ্জের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা বক্তব্য রাখেন। ####