বন্দর প্রতিনিধি: কোচিং সেন্টার খুলে পুলিশে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল সোমবার সকালে প্রতারনার শিকার পুলিশে চাকুরি প্রার্থী স্বদেশ ভূইয়া বাদী হয়ে ২ জনের নাম উল্লেখ্য করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ৬১(২)১৮ ধারা- ৪০৬/ ৪২০/ ১২০/ ৫০৬ দঃবিঃ। জানা গেছে, বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নস্থ হাজরাদী চাঁনপুর এলাকার মোতাহার উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে স্বদেশ ভূঁইয়া হাজী ইব্রাহিম আলম চাঁন স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসচ্ছে। এ সুবাদে স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র গত ২৪ ফেব্রুয়ারী পত্রিকায় নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনসে পুলিশ নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন দেখে। এতে সে আগ্রহী হয়ে বন্দর উপজেলার নিশংস্থ মোল্লাবাড়ি এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে বাদশা মিয়া (৩০) এর সাথে যোগাযোগ করে। এতে প্রতারক বাদশা মিয়া ৪ লাখ টাকায় পুলিশে চাকুরি পাওয়া যাবে বলে পুলিশে চাকুরি আগ্রহি প্রার্থী স্বদেশ ভূইয়া ও তার পরিবারকে আশ্বাস্ত করে। পরে গত ২০ জানুয়ারী সকাল ১০টায় ২ লাখ টাকা ও গত ১৪ ফেব্রুয়ারী বিকেল ৫টায় আরো ২ লাখ টাকা নিশং এলাকার সিরাজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে ঢাকার বিশেষ শাখার সহকারী উপ পরিদর্শক শাহাবুদ্দিন মিয়ার কাছে তোলে দেয়। পরে পুলিশে চাকুরিতে আগ্রহি প্রার্থীকে প্রত্যাশা কেচিং সেন্টারে নিয়ে নিয়মিত ১২ দিন কোচিং করায়। এ ছাড়াও এ সেন্টারে বন্দর থানার শুভকরদী এলাকার সেলিম মিয়ার ছেলে সিয়াম, আনিস মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম, পিয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে মোস্তাকিম, পিয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে রায়হান, মোহাম্মদ হোসেন মিয়ার ছেলে তৌহিদ হাসান ও কান্দিপাড়া এলাকাার মতিউর রহমানের ছেলে মোস্তফা আক্তার মলিসহ ২০ জন প্রার্থীর কাছ থেকে ৮০ লাখ টাকা নিয়ে এ সেন্টারি বিভিন্ন বিষয়ে কোচিং করায়। পুলিশে নিয়োগ প্রার্থী স্বদেশ গত ২৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ৯টায় উল্লেখিত ২ প্রতারক নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে শারীরিক পরিক্ষা জন্য স্বদেশ ভূইয়াকে লাইনে দাঁড় করায়। পরে স্বদেশ ভূইয়া জানতে পারে বাংলাদেশ পুলিশে যোগাদান করতে কোন টাকা লাগেনা। পরে তার টাকা পুনরায় ফেরত চাইলে উল্লেখিত প্রতারকরা এতে অস্বীকৃতি জানায়। এ ঘটনায় প্রতারনার শিকার স্বদেশ ভূইয়া বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ এ মামলার প্রতারকদের গ্রেপ্তারের সঙবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ। ###