নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন পুনঃনিরীক্ষার দাবীতে রবিবার (২২ জুলাই) গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার বিক্ষোভ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল চারটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভটি অনুষ্ঠিত হবে বলে গণমাধ্যমে পাঠনো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অারো জানানো হয়, গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন ২০০২ সালের ২৯ অগাস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের স্বার্থের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করে । দীর্ঘ ১৬ বছরে আমরা জনগণের প্রতিটি গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব স্থানীয় ভূমিকা পালন করেছি। আমরা মুক্তিযুদ্ধের আকাক্সক্ষার গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় নিরলসভাবে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছি।
গত ৭ জুলাই ২০১৮ রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন পুনঃনিরীক্ষার দাবিতে গণসংহতি আন্দোলন সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনের ঘোষনা অনুসারে এই বিক্ষোভ সমাবেশটি ২১ জুলাই ২০১৮ শনিবার বিকাল ৪টায় প্রেস ক্লাবের সামনে নির্ধারিত ছিল।
নির্বাচন কমিশন এর গত ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখের গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বিধি অনুযায়ী শর্ত পূরণ সাপেক্ষে গণসংহতি আন্দোলন রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধনের আবেদন করে। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল তারিখে পত্র মারফত নির্বাচন কমিশন তার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী যে ঘাটতি বা সম্পূরক শর্তাদি পালনের শর্ত দেয় তাও গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে যথাযথভাবে পূরণ করা হয়। উল্লেখ্য ইসির এই চিঠি ছিল দলিলপত্রে কোন ঘাটতি থাকলে তা পূরণ করতে ১৫ দিন সময় দেবার বিধান অনুযায়ী। সেখানে ইসির চিঠিতে দলের গঠনতন্ত্রে অঙ্গ সংগঠন না রাখার বিধান যুক্ত করা এবং বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া বিস্তারিত করার কথা বলা হয়। যার অর্থ নির্বাচন কমিশন এই দুই ক্ষেত্র ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে কোন ঘাটতি নেই বলে স্বীকৃতি দেয়। কাজেই তাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী গণসংহতি আন্দোলন এই দুইটি বিষয়ই গঠনতন্ত্রে পরিষ্কারভাবে যুক্ত করে তার অনুলিপি নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী দলিলাদি বিষয়ে গণসংহতি আন্দোলন সকল শর্ত পূরণ করে।
দলিলপত্রের চাহিদা পূরণের পর কোনো ঘাটতি থাকলে তা মাঠ জরিপের মাধ্যমে উঠে আসার কথা। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম নির্বাচন কমিশন মাঠ জরিপের আগেই ৭৫টি আবেদনকারী দলের ভেতর ৭৩টি শর্ত পূরণ করেনি বলে তাদের আবেদন জরিপের জন্য বিবেচনায় নেয়া হয়নি এমন ঘোষণা দিয়েছে। যা আমাদের জানতে হয়েছে গণমাধ্যম সূত্রে। আবেদনকারী দলসমূহকে এর কোন কারণ ব্যাখ্যা করা হয়নি। তেমনি ভাবে যে দলগুলোকে তারা জরিপের জন্য বিবেচনা করেছেন তাদের কিসের ভিত্তিতে যোগ্য বিবেচনা করা হয়েছে সেটিও অজানা। এটা একটা অগণতান্ত্রিক, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া। এমন অবস্থায় আমরা নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন পুনঃনিরীক্ষার দাবি জানাই।#