নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জ শহরের নয়ামাটি এলাকায় একটি হোসিয়ারী কারখানার দোকানে শ্রমিক শাকিল মিয়াকে (১৪) ধারালো কেচি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরো ২ জনকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। সোমবার রাতে শহরের নয়ামাটি ও বন্দরের কুশিয়ারা এলাকায় সদর মডেল থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ও এএসআই সোহাগের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো নিরু ও সারোয়ার। এর আগে ১৬ জুলাই সোমবার সকালে নয়ামাটি এলাকার আলম মার্কেটে আফসানা হোসিয়ারী কারখানা থেকে শাকিলের লাশ উদ্ধারের পর আফসানা হোসিয়ারী মালিক সুমন ও নৈশপ্রহরী আমিনউদ্দিনকে আটক করে পুলিশ। নিহত শাকিল বন্দরের চর ইসলামপুর এলাকার জোহা মিয়ার ছেলে।
সদর মডেল থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরেই পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শাকিলকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আরো দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে যাদের মধ্যে একজন পরিকল্পনাকারী ও একজন বাস্তবায়নকারী বলে আমাদের সন্দেহ। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলাম জানান, নিহত শাকিল আফসানা হোসিয়ারীতে ২ বছর ধরে কাজ করে আসছে। রাতে সে কারখানার ভেতরেই ঘুমাতো। রোববার রাতে ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দেখে এসে রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। এখানেই আরেক শ্রমিক সারোয়ারও থাকতো। ভোরে সারোয়ারকে হোসিয়ারী বন্ধ করে চলে যেতে দেখেছেন নৈশ প্রহরী। পরে সকালে কারখানা খুলে দোকান খুলতে গেলে ভেতরে শাকিলের কাঁচি দিয়ে কোপানো লাশ উদ্ধার করা হয়। ওসি আরো জানান, হত্যাকারীকে শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। একই সাথে কেন এই হত্যাকান্ড তাও বের করার চেষ্টা করা চলছে।