নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
আড়াইহাজারে মেঘনা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত রোজিনা আক্তার(৩৮) নামে আরো একজনের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সংঘর্ষে ২ব্যক্তি নিহত হল। আহত ১৫জনের মধ্যে আরো বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকা জনক।
গত শনিবারের ঘটনায় নিহত সুজনের ভাই রবি মিয়া বাদী হয়ে বাবুল,কবির,হযরত আলী সহ ৩১জনের নাম উল্লেখ করে আড়াইহাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
আড়াইহাজার থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ৭জুলাই শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যারচর এলাকায় চাই পেতে চিংড়ি মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এলাকার বিবদমান হযরত আলী ও সুজন পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সুজন(৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত ও ১৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মূমূর্ষ অবস্থায় রোজিনা আক্তার(৩৮),হযরত আলী(৬৫) ও আছমা আক্তার(২৮)কে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৮জুলাই রবিবার বিকাল ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রোজিনা আক্তার মৃত্যু বরণ করেন। এ নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় সুজন ও রোজিনা আক্তার নামে ২জনের মৃত্যু হল।
এখনো হযরত আলী ও আছমা আক্তারের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানাগেছে। নিহত রোজিনা আক্তার সংঘর্ষে আহত বাবুল মিয়ার স্ত্রী বলে পুলিশ জানায়।
এদিকে সুজন হত্যার ব্যাপারে নিহত সুজনের ভাই রবি মিয়া বাদী হয়ে রবিবার দুপুরে প্রতিপক্ষের বাবুল, কবির,হযরত আলী সহ ৩১জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০/১৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করে আড়াইহাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
এ জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় কালাপাহাড়িয়ার মধ্যারচর এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় এ দুই পক্ষের মধ্যে পুনরায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে এলাকাবাসী। পুনরায় সংঘর্ষ এড়াতে আড়াইহাজার থানার ওসির নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে।
আহত রোজিনা আক্তারের মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করে আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক জানান, মধ্যারচর এলাকার জোড়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় অশান্ত ও থমথমে অবস্থায় তার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় মোতায়েন রয়েছে। তবে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য,শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যারচর এলাকায় চিংড়ি মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে হযরত আলী ও সুজন গ্রুপের মধ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র,দা,ছোরা,টেটা,বল্লম নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে করে এ পর্যন্ত ২জন নিহত ও ১৫ ব্যক্তি আহত হয়েছে।#