নারায়নগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নেপালের বিমান বিধ্বস্তে আহত নারায়ণগঞ্জের শাহীন ব্যাপারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেছে। রাতে তার মরদেহ সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব মিজমিজি এলাকায় নিয়ে আসা হয়।
শাহীন ব্যাপারীর ভাই চঞ্চল জানিয়েছে সোমবার ২৬ মার্চ বিকাল ৫টায় ঢামেক হাসপতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহত ১০ জনের একজন ছিলেন শাহীন ব্যাপারী। ওই দুর্ঘটনার পর গত ১৮ মার্চ তাকে দেশে নিয়ে আসা হয়। তাকে ভর্তি করা হয় ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।
চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছিলেন, শাহীন ব্যাপারীর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। শেষ পর্যন্ত তাদের সব প্রচেষ্টাকে বিফল করে সোমবার বিকালে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন শাহীন।
শাহীনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাহীন ব্যাপারীর গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ হলেও ১৫ বছর আগেই তারা নারায়ণগঞ্জ চলে আসেন। সিদ্ধিরগঞ্জের পূর্ব মিজমিজি এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। শাহীন ব্যাপারীর ভাই চঞ্চল বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সেখানেই নিয়ে যাওয়া হবে তার মরদেহ। দাফনও সেখানেই করা হতে পারে।
শাহীন ব্যাপারীর এক চাচা জানিয়েছেন, সিদ্ধিরগঞ্জেই শেষ নিদ্রায় শায়িত করা হবে তাকে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্ত শেষ হলেই শাহীনের মরদেহ নারায়ণগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হবে।
এক কন্যা সন্তানের জনক শাহীন ব্যাপারী পুরান ঢাকায় কাপড়ের ব্যবসা করতেন। তার মেয়ের নাম সূচনা, স্ত্রী লিমা। তারা চার বোন দুই ভাই।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে রওনা দেওয়া ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহীর মধ্যে ৪৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি ২৬ জন। আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে একজনকে নেওয়া হয় ভারতের দিল্লিতে, দু’জনকে সিঙ্গাপুরে। বাকি সাত জনকে দেশে নিয়ে এসে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে রবিবার মধ্যরাতে কবীর হোসেনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরে। আর আজ সোমবার না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন শাহীন। ###