বন্দর প্রতিনিধি : বন্দর উপজেলার অধিকাংশ ছোট বড় কালবাট ব্রীজ মারাতœক ঝুঁকিপূর্ন অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ করে মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের কল্যান্দী ব্রীজটি বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে এখন মরনফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্রীজের রাস্তার নিচের মাটি সরে যাওয়ায়সহ বন্দরে বহু ব্রীজ ধ্বসে যাওয়ার আশংকা প্রকাশ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ বন্দরের সচেতন মহল। জানা গেছে, বন্দর উপজেলার দক্ষিনাঞ্চলের জনসাধারনে যাতায়েতের জন্য তৎকালিন পার্লামেন্টের মেম্বারের সহতায় ঐতিহ্যবাহী ত্রিবেনী ব্রীজের উপর দিয়ে একাধিক ব্রীজ র্নিমান করা হয়। এর মধ্যে কল্যান্দী ব্রীজটি গুরুত্বপূর্ন। র্দীঘ দিন ধরে একটি মাত্র ব্রীজ ব্যবহারের কারনে ও সংস্কারের অভাবে দিন দিন উক্ত ব্রীজটি মারাতœক ভাবে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠছে। সে সাথে ব্রীজের দুই পাশের রেলিং এর রড বের হয়ে গেছে। এ ব্রীজ দিয়ে যানবাহনসহ সাধারন জনগনের চলাচল করা বর্তমানে একেবারেই দায় হয়ে পরেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, র্নিমানের র্দীঘ ২৫ বছরেও এ ব্রীজ দিয়ে প্রতিদিন তেমন উল্লেখযোগ্য যানবাহন চলাচল না করলেও বিগত ১৫ বছর ধরে বন্দরের মদনগঞ্জ এলাকায় বসুন্ধরা সিমেন্ট কোম্পানী, সামিট পাওয়ার প্লান্ট, সিমেক্স সিমেন্ট কোম্পানীসহ অসংখ্যা বেসরকারি ডকইয়ার্ড ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় এ ব্রীজ দিয়ে উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানের শত শত ট্রাক, কন্টেইনার, কভার্ড ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন মালামাল নিয়ে প্রতিদিন কল্যান্দী ব্রীজ দিয়ে চলাচল করে থাকে। এ ছাড়াও অসংখ্য বাস, সিএনজি, বেবী অটো ইজিবাইক ওই ব্রীজ দিয়ে চলাচল করছে অহরহ। এখন থেকে ব্রীজের সংস্কার কাজ শুরু করা নাহলে যে কোন সময় ব্রীজ ধ্বসে প্রানহানি ঘটনার আশংকা প্রকাশ করেছে সচেতন মহল। ব্রীজটি সংস্কারের জন্য স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব সেলিম ওসমানের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছে স্থানীয় সাধারন জনগন। ###