আড়াইহাজার প্রতিনিধি: নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ষাড়পাড়া গ্রামে চুরির অপবাদ দিয়ে দুই যুবককে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশ নির্যাতনকারী দুই যুবককে গ্রেফতার ও করেছে। শনিবার রাতে মামলা রেকর্ড করে নজরুল ও সিরাজ নামে দুই সহোদরকে গ্রেফতার করার কথা পুলিশ জানিয়েছে। গ্রেফতার নজরুল ও সিরাজ ওই গ্রামের আহাম্মদের ছেলে।
প্রসঙ্গত, একটি অটোরিক্সা চুরির অপবাদ দিয়ে ব্রাহ্মন্দী গ্রামের মোনতাজ উদ্দিনের ছেলে যানবাহনের বডি মিস্ত্রি স্বপন (৩০) ও তার চাচা তাহের আলীর ছেলে টিউবয়েল মিস্ত্রি মাসুম (৩২) কে একজন ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে শুক্রবার দিন ভর গাছের সাথে বেঁধে দফায় দফায় নির্যাতন করা হয় এবং তাদের চুল কেটে দেয়া হয়। সংবাদ পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য থানা থেকে পুলিশ গেলে ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য জাইদুল হকের লোকজন প্রভাব খাটিয়ে নির্যাতিতদেরকে পুলিশের হাতে তুলে না দিয়ে পুলিশ কে চলে যেতে বাধ্য করে। রাতে নির্যাতনের শিকার মাসুম ও স্বপন কয়েকবার অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ওই সময় নির্যাতিতরা মারা যেতে পারে ভেবে ইউপি সদস্য জাইদুল হক তাদেরকে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশ স্বপন ও মাসুমের আশঙ্কাজনক অবস্থা দেখে তাদেরকে থানা থেকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। পরে স্বজনরা তাদের চিকিৎসাার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ ব্যাপারে রোববার বিভিন্ন দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হলে এলাকায় হৈচৈ পড়ে যায়। সংবাদ প্রকাশের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে থানা পুলশ নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা নেয় এবং উক্ত দুই সহোদরকে গ্রেফতার করে। মামলার বাদী হন আহত স্বপনের মা আলেয়া বেগম। তবে ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাইদুল হক কে পুলিশ এখন পর্যন্ত প্রেফতার করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ হক জানান, বিষয়টি মানবাধিকার লংঘনের সামিল। আইন কারো হাতে তুলে নেয়া উচিৎ নয়। তিনি বাকী আসামীদেরকে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। ##