কাঠবাদামের উপকারিতার কথা আমাদের কম-বেশি সবারই জানা। খাওয়ার পাশাপাশি রূপচর্চার কাজেও সমান কার্যকর এই কাঠবাদাম। এটি আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। চলুন জেনে নেয়া যাক-
কাঠবাদামে আছে ময়েশ্চারাইজার। এটি মুখের ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে তৈলাক্ত ত্বকে যারা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে চান না, তাদের জন্য অনেক উপকারী। কাঠবাদামের তেল টোনার হিসেবেও ব্যবহার হয়। তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে মুখের লোমগ্রন্থি বন্ধ হওয়া ও ব্রণের ভয় থাকবে না।
রাতে ঘুমানোর আগে কাঠবাদাম বাটা চোখের নিচে দিয়ে ঘুমালে আস্তে আস্তে দাগ চলে যাবে। তবে নিয়মিত করতে হবে। এ ছাড়া চোখের নিচের বলিরেখা, ফোলা ভাবও কমাবে। এন্টিএজিং হিসেবে কাঠবাদাম তেলের জুড়ি নেই। রাতে ঘুমানোর আগে কয়েক ফোঁটা তেল মুখে মেখে ঘুমান। সকালে ধুয়ে ফেলুন। বলিরেখা পড়বে না।
কাঠবাদাম তেলের সঙ্গে ল্যাভেন্ডার অয়েল মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করলে চুল পড়া কমবে। কাঠবাদাম তেল, মেথি গুঁড়া, ক্যাস্টর অয়েল, নারিকেল তেল একত্রে সমপরিমাণ মিশিয়ে চুলে লাগালে চুলের আগা শক্ত হবে, চুল পড়া কমবে, চুলের বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হবে।
কাঠবাদাম স্ক্রাব হিসেবেও কাজ করে। কাঠবাদামের আধা ভাঙা দানার সঙ্গে মধু ও টক দই মিশিয়ে মুখে আলতো করে ম্যাসাজ করলে স্ক্রাবের কাজ হবে। আর স্ক্রাব ত্বকের মরা চামড়া তুলতে সাহায্য করে।
এতে থাকা ভিটামিন ‘ই’ ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে রক্ষা এবং সানবার্ন রোধ করে। নিয়মিত তেল দ্বারা ম্যাসাজ করলে ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, ফলে ত্বক সতেজ থাকে। ভারী মেকআপ তুলতে কাঠবাদাম তেলে তুলার বল ভিজিয়ে তা দিয়ে মেকআপ পরিষ্কার করতে পারেন। খুশকি দূর করতে কাঠবাদাম তেলের সঙ্গে নিম তেল ১:১ অনুপাতে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিন। সকালে শ্যাম্পু করে ফেলুন।