ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে নিবিড় যত্ন চাই, আর সেটা ঋতুভেদে নয়, চাই সবসময়। সেজন্য প্রয়োজন ময়েশ্চারাইজিং।
ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত আধাভেজা ত্বকে। গোসলের পর গা পুরোপুরি না মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যাবে। গোসলের সময় ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারাতে থাকে, তাই ওই সময় বাড়তি ময়েশ্চার প্রয়োজন হয় বেশি। পানিশূন্য শরীর মলিন ত্বকের বড় একটা কারণ। শরীর কিন্তু প্রতিনিয়ত পানি হারায়, এবং পানি সংগ্রহ করে রাখার ব্যবস্থা তার নেই। কাজেই পানির চাহিদা পূরণ করুন বারবার। প্রতিদিন অন্তত আট/দশ গ্লাস পানি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহের স্বাভাবিক চাহিদা, আর সম্ভব হলে তার চেয়ে কিছুটা বেশি পানি গ্রহণ করা ভালো। রাতে বিছানায় যাবার আগে ত্বককে তার খাবার দিয়ে তো ঘুম দিন। ময়েশ্চার আপনার ত্বকের খাদ্য, যেটা রাতের বেলা ভীষণ উপকারী। হাত-পায়ে লোশন দিলে নরম মোজা ব্যবহার করা যায় ঘুমের সময়। যেকোনো ধরণের ত্বকেই নারকেল তেল উপকারী ভূমিকা রাখে। ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় এই তেল ভীষণ কার্যকর। ভিটামিন ই এবং ল্যাভেন্ডার তেলও ত্বকের ভালো বন্ধু। এই তিন উপাদানের মিশ্রণে এমন একটি সামগ্রী বানিয়ে নিতে পারেন যা আপনার ত্বকে পুষ্টি জোগানো এবং ক্ষয়পূরণ করার কাজ বেশ ভালোভাবে করবে।