খাবারে সর্ষের তেলের ব্যবহার বেশ পুরানো। খিচুরি, তেহারি, ইলিশ ভাজা, ঝালমুড়ি, আচার- কোথায় না দরকার পরে সর্ষের তেলের! মজার ব্যাপার হলো সর্ষের তেলের এই ব্যবহার শুধু খাবারেই নয়, রয়েছে ত্বকের যত্নেও। আজ জেনে নেবো ত্বকের যত্নে সর্ষের তেলের কিছু ব্যবহার-
ডার্ক স্পট, ট্যান বা পিগমেন্টেশন কাটিয়ে ওঠার জন্য বেসন, দই, লেবুর রসের সঙ্গে সর্ষের তেল মিশিয়ে মুখে-ঘাড়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন তেল দিয়ে তৈরি এই মাস্ক ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে।
অনেক সময়ই স্কিন টোন হাল্কা করার জন্য আমরা অনেক চেষ্টা করি। টোনিং হাল্কা করতে সম পরিমাণে সর্ষের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে প্রতি রাতে মিনিট পনেরো মুখে মাসাজ করতে হবে। তার পর মাইল্ড ফেস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি কমপ্লেক্স এবং ই। ফলে ত্বকের উপর সরষের তেলের নিয়মিত ব্যবহারে রিংকল কমে। ত্বককে করে তোলে সুস্থ ও সতেজ। রোদে বেরোনোর আগে অত্যন্ত অল্প পরিমাণে সর্ষের তেল মুখে লাগিয়ে নিন। এটা ক্ষতিকারক আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করবে। কাজ করবে প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের মতোই। তবে বেশি পরিমাণ তেল লাগালে ত্বকে ধুলোবালি আটকে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। অনেকেরই সারা বছর ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকে। প্রতি রাতে শোয়ার আগে নাভিতে দু’-তিন ফোঁটা সর্ষের তেল বুলিয়ে ঘুমান। পাবেন এই সমস্যা থেকে রেহাই। সর্ষের তেলে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকার দরুন নানা অ্যালার্জি ও র্যাশ কমাতে সাহায্য করে। এমনকি ত্বকের শুষ্কতা ও চুলকানিও প্রতিরোধ করে।