হারাধন চন্দ্র দে: নারাযণগঞ্জের আড়াইহাজার পৌরসভা সাধারন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে পিতা-পুত্র ও শ্বশুরের নির্বাচনী লড়াই জমে উঠেছে। নির্বাচনী মাঠে কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।
জানাগেছে, আড়াইহাজার পৌরসভার ৬নং সাধারন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ৩জন প্রার্থী নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছে। তাদের মধ্যে আড়াইহাজার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লাল মিয়া, তার বড় ছেলে মো: নবী হোসেন ও নবী হোসেনের উকিল শ্বশুর বর্তমান কাউন্সিলর মোঃ বশির উল্লাহ একই পদে নির্বাচনে মাঠে লড়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে এ নির্বাচনী এলাকায় সাধারন ভোটারদের মধ্যে আলোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। পাড়া, মহল্লা ও চায়ের দোকান গুলোতে সরব আলোচনা হচ্ছে এ তিন ব্যক্তিকে নিয়ে।
আসন্ন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী লাল মিয়া ডেইলী বাংলাদেশকে জানান, বিগত দিনগুলোতে এলাকার মানুষের পাশে থেকে সেবা করার কারনে জনগণ তার পক্ষে ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে। নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে তার বিশ্বাস। অপরদিকে বর্তমান কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ মোঃ বশির উল্লাহ জানান, বিগত পৌরসভা নির্বাচনেও তার বিয়াই লাল মিয়ার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন। বিগত দিনগুলোতে এলাকার মানুষের পাশে থেকে সেবা করেছি। সাধারন ভোটারদের দাবীতে আবারো তিনি কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন। তার বিশ্বাস ভোটাররা এবারও তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন।
এদিকে পিতা ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছেন নবী হোসেন। নবী হোসেন জানান,সে তার পিতা লাল মিয়া ও শ্বশুর বশির উল্লাহ কে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেন একক প্রার্থী করার জন্য। সেই লক্ষে পারিবারিক ভাবে কয়েকবার বসার পরও যখন পিতা ও শ্বশুরকে সমঝোতায় নিয়ে আসতে না পেরে অভিমান বসত সে তাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামে। তবে নবী হোসেন বলেন, শ্বশুর বশিরউল্লাহকে অনুরোধ করেছিলাম তার পিতা লাল মিয়াকে অন্যথায় তাকে সমর্থন করে এবার শ্বশুর যেন নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান। সে বলেন, দলীয় ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশনা পেলে সে নির্বাচন করবেন,না পেলে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়াবেন।
তবে তাদের পিতা-পুত্র ও শ্বশুরের নির্বাচনী লড়াইকে নিয়ে এলাকায় মুখরোচন সরব আলোচনা চলছে কার মুখে শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি ফুটে।#