নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম: ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি লরির(লং ভেহিক্যাল) সাথে যাত্রীবাহি একটি বাসের মধ্যে সংঘর্ষে বাসের ১০ যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ওই বাসের আরো ৩০ জন যাত্রী। আহতদের ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে এই দূর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আধঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
পুলিশ ও আহত যাত্রীরা জানান, রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে চট্টগ্রামগামী সিডিএম পরিবহনের এমডি ইয়াশা নামের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে যাওয়ার পথে দুুপুর সোয়া একটার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার ত্রিবর্দী এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি লরিকে(লং ভেহিক্যাল) পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহি বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই বাসের দুই যাত্রী নিহত হয়। আহত অন্যান্য যাত্রীদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলা স্বা¯্য’্য কমপ্লেক্্র দুইজন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো ৫ জনের মৃত্যু হয়। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আধাঘন্টা এক পাশ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। দূর্ঘটনার পর কাঁচপুর হাইওয়ে থানা, পুলিশ, সোনারগাঁ থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালায়। পরে পুলিশ রেকার দিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি সরিয়ে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঢাকা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারি পরিচালক মোস্তফা মহসিন জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেই উদ্ধার কাজ শুরু করে। উদ্ধার কর্মীরা আহতদেরকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে সহায়তা করে। তবে তাদেও মধ্যে অধিকাংশের অবস্থাই আশংকাজনক।
দূর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কুমিল্লার বাসিন্দা অমূল্য কর্মকার জানান, ওই বাসটিতে শতাধিক যাত্রী ছিল। বাসের চালক বেপরোয়া গতিতে চালানোর কারনেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। দূর্ঘটনায় অধিকাংশ যাত্রীই আহত হয়েছে। এই দূর্ঘটনায় তার স্ত্রীও আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দূর্ঘটনায় আহত আবদুর রব বাস চালকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে জানান, তার পরিবারের পাঁচজন আহত হয়েছেন। বাসের চালক স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালালে এই দূর্ঘটনা ঘটতো না বলে মন্তব্য করে এই দূর্ঘটনার জন্য তিনি বাসচালককেই সম্পূর্ণভাবে দায়ী করেন।
সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা: গোলাম মোস্তফা জানান, ৯জনকে এখানে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৮জনকে নিহত অবস্থায় আনা হয়। আহত ৫ জনের মধ্যে দুইজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। অপর তিনজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোরশেদ আলম জানান, যাত্রীবাহি বাস ও লরির সংঘর্ষে ১০ যাত্রী নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন নারী, দুইজন শিশু ও ৫ জন পুরুষ। আহত হয়েছে আরো ৩০ যাত্রী। তবে নিহতদের কারো পরিচয় এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে দুইজনকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান। দূর্ঘটনার পর থেকে বাসটির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছে। পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশ ও সোনারগাঁ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে এ ঘটনার পর বিকেলে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালাম আজাদ নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে যাত্রীবাহি একটি বাসের সঙ্গে লরি(লং ভেহিক্যাল) সংঘর্ষে বাসের ১০ যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ওই বাসের আরো ৩০ যাত্রী। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আধাঘন্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দুুপুর সোয়া একটার দিকে সোনারগাঁ উপজেলার ত্রিবর্দী এলাকায় চট্টগ্রামগামী সিডিএম পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া সড়কের পাশে থামানো লরি(লং ভেহিক্যাল) ধাক্কা দেয়। এতে যাত্রীবাহি বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ওই বাসের দুই যাত্রী নিহত হয়। আহত বাসের অপর যাত্রীদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর মধ্যে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে দুই জন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু হয়। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে আধাঘন্টা এক পাশ যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পুলিশ রেকার দিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়িটি সরিয়ে নিলে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহতদের মধ্যে দুই জন নারী, দুই জন শিশু ও ৪ জন পুরুষ রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোরশেদ আলম জানান, যাত্রীবাহি বাস ও লরির সংঘর্ষে ৮ যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ৩০ যাত্রী। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে তিনি জানান। #