নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম : ঘনিয়ে আসছে সংসদ নির্বাচন। আসন্ন এ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে মানোনয়ন প্রার্থী কাউসার আহমেদ পলাশ। তাই তার বিরুদ্ধে এখন অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে মনে করছেন আব্দুল হাই ও আনোয়ার হোসেন।
কাউসার আহমেদ পলাশ জাতীয় শ্রমিকলীগের শ্রমিক উন্নয়ন ও কল্যান বিষয়ক সম্পাদক। এরই মাঝে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। অতি সম্প্রতি তার বাড়িতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এসেছিলেন। ফলে তাকে নিয়ে মিডিয়ায় এখন আলোচনা সমালোচনা তুঙ্গে। তবে এরই মাঝে চারটি পত্রিকায় তার চরিত্র হনন করে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এ ব্যাপারে কাউসার আহমেদ পলাশ আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা আবদুল হাই ও আনোয়ার হোসেন সমর্থন জানিয়েছেন জনপ্রিয় এ শ্রমিক নেতাকে।
গতকাল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইয়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, পত্রিকায় কাউসার আহম্মেদ পলাশকে নিয়ে যে সকল রিপোর্ট আসছে তা আগে কেন আসেনি। আগে কেন এসব অভিযোগ তোলা হয়নি। যখন নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে, যখন কাউসার আহমেদ পলাশের নির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে তখনই তার বিরুদ্ধে হঠাৎ করেই নানা কথা লিখা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন পলাশকে আমি বহুদিন ধরেই চিনি। অতীতে তিনি ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের রাজনীতি করেছেন। এখন শ্রমিকলীগের ভাল একটি পদে আছেন। কিন্তু পলাশ কখনো কারো উপর জুলুম করেছেন বা কারো কাছে চাঁদা চেয়েছেন এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে কখনো কেউ করেনি। তবে পলাশ আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে সত্য মিথ্যা প্রমান হবে। এ বিষয়ে আদালত নিশ্চই ন্যায় বিচার করবে। তাই বিচারাধিন বিষয়ে এর বেশি কিছু বলতে চাই না।
অপরদিকে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি মনে করি কাউসার আহম্মেদ পলাশকে নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে। তবে তিনি রাজনীতিবিদ তাই রাজনীতি হতেই পারে। তাই বলে নোংড়া রাজনীতি কারো কাম্য হতে পারে না। আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, পলাশ নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনোনয়ন চাওয়ার কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতি যারা করেন তাদের সবার দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার অধিকার রয়েছে। আর মনোনয়ন দেয়ার মালিক হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই বলে এক শ্রেনীর মিডিয়াকে ব্যাবহার করে তাকে সমাজে হেয় করার চেষ্ঠা ঠিক নয়। তিনি এ প্রতিনিধিকে আরো বলেন, তোমাদের মাঝে কিছু সাংবাদিক আছে যারা তাদের পছন্দে নয় তাদের বিরুদ্ধে যা খুশী তাই লিখে দেয়। তবে সবাই এমন নয়। সত্য মিথ্যা যাচাই করে যা সত্য তাই লিখে এমন সাংবাদিকের সংখ্যাই বেশি। তিনি বলেন, কাউসার আহম্মেদ পলাশ একজন ভাল শ্রমিক নেতা। তিনি একজন নামাজি মানুষ। তিনি বহু বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এখন তার বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ তোলা হচ্ছে এসব অভিযোগ আগে তোলা হয়নি। তাই আমি মনে করি এখন রাজনৈতিক কারনেই তার বিরুদ্ধে নানা কথা লিখা হচ্ছে। আমরা নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিকদের কাছে গঠনমূলক সাংবাদিকতাই আশা করি। রাজনৈতিক দলে প্রতিযোগীতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। মিথ্যা দিয়ে কখনোই সত্যকে ঢাকা যায় না। রাজনীতিকে অধিকতর ভাল রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করা উচিৎ বলে আমি মনে করি। আর সাংবাদিকদেরতো অবশ্যই পেশাদারিত্ব বজায় রেখে সাংবাদিকতা করা উচিৎ। এটা না করা হলে ওই সাংবাদিকেরই ক্ষতি। কোন সাংবাদিক বিশ^াসযোগ্যতা হারিয়ে ফেললে তার আর অবশিষ্ট কিছু থাকে না। তাই আমরা আশা করব নারায়ণগঞ্জের সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ সবাই জনকল্যানে কাজ করবেন। সবাই সজাগ থাকবেন কেউ যেন কাউকে অন্যায় কাজে ব্যাবহার করতে না পারে।