নারায়ণগঞ্জ টুয়েন্টিফোর ডটকম:
নারায়ণগঞ্জের গোগনগর এলাকা থেকে সোমবার মধ্যরাতে উদ্ধারকৃত অজ্ঞাত নারীর লাশের পরিচয় মিলেছে। তার নাম মাহমুদা আক্তার (৩০)। তিনি শহরের দেওভোগ নাগবাড়ি এলাকার আক্কাছ আলীর মেয়ে। শহরের উকিলপাড়া এলাকার “টপটেন” নামের একটি মেগামলের বিক্রয়কর্মী ছিলেন তিনি। ইতিপূর্বে তিনি একাধিক শর্টফিল্মে কাজ করেছিলেন বলে বলে জানা গেছে। তার পরিচয়পত্র থেকে পুলিশ এসব তথ্য উদঘাটন করেছে বলে জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম।
সোমবার রাতে গোগনগর আলামীননগর এলাকার মোহাম্মদ আলী আকবরের তিনতলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে পঁচা দূর্গন্ধ ছড়ালে এলাকাবাসী থানা পুলিশকে জানরায়। পরে পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজার বাইরের তালা ভেঙে উদ্ধার করে এক অজ্ঞাত নারীর অর্ধগলিত লাশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য লাশটি নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এদিকে ওই নারীর ফ্ল্যাট তল্লাশি করে উদ্ধার হয় তার একটি পরিচয়পত্র। সেই পরিচয়পত্রের সূত্র ধরেই পুলিশ তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়। তবে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মাহমুদার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ থানায় আসেনি। তার বাবার বাসায় গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ইতিপূর্বে মাহমুদার বিয়ে হয়েছিল। সেই সংসারের ৭বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। প্রায় দুই মাস আগে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক বয়ফ্রেন্ডকে স্বামী পরিচয় দিয়ে আলামীননগর এলাকার মোহাম্মদ আলী আকবরের বাড়ির এই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন মাহমুদা। ধারণা করা হচ্ছে, দুই/তিনদিন আগে দ্বিতীয় স্বামী মাহমুদাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফ্ল্যাটের দরজার বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে তার সেই কথিত স্বামীর পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পুলিশ তার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। তাকে গ্রেফতার করতে পারলে মাহমুদার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জানা গেছে, মডেলিংয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে চাওয়া মাহমুদা ছিলেন অত্যন্ত উচ্চবিলাসী। তার জীবন যাপনও ছিলো সেই ধরনের। এ কারণেই স্বামী ও কন্যা সন্তান ফেলে রেখে অনেকের সাথে এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতেন তিনি। যার কারনে মা-বাবাসহ পরিবারের কেউই তার সাথে কোন সর্ম্পক রাখেননি।#