হারাধন চন্দ্র দে, আড়াইহাজার:
আড়াইহাজারে মেঘনা নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত ১জন,আহত হয়েছে অন্তত ১৫জন।আড়াইহাজার থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, ৭জুলাই শনিবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যারচর এলাকায় মেঘনা নদীর পাড় সংলগ্ন একটি বিরোধপূর্ণ জমিতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে আবুল হাসেমের পুত্র সুজনের সাথে একই এলাকার হযরত আলীর সাথে কথাকাটি হয়। এই নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মধ্যারচর এলাকার মনিরের মুদির দোকান সংলগ্ন সড়কে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষ দেশীয় ধারালো,দা, ছোরা,টেটা,বল্লম নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ ব্যক্তি আহত হয়। আহত সুজন(৩৫),সফিকুল (২৮),হাছান(৩২) ও স্থানীয় ইউপি সদস্য লিটন(৪৫)কে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মাহাবুব হোসেন সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। ডাঃ মাহাবুব হোসেন জানান, নিহত সুজনের মাথার পিছন দিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও টেটা বিদ্ধ রয়েছে। অপরদিকে প্রতিপক্ষের হযরত আলী(৬৫),তার পুত্র স্বপন(৩৫),কবির(৩০),কন্যা আছমা (২৮),বাবুল(৪৫),বাবুলের স্ত্রী(৩৮),জজমিয়া(৪৫) ও আনোয়ার (৩৬) সহ বেশ কয়েকজনকে হোমনা ও সোনারগায়ের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে হযরত আলীর অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে।
(নিচে ভিডিও লিংক)……
আহত সফিকুল জানায়,তাদের জমিতে হযরত আলী ও তার পুত্ররা প্রায়ই জোর করে চাই পেতে মাছ ধরে নিয়ে যায়। আজকে সন্ধ্যায় তারা জোর করে চাই পাতার সময় বাঁধা দিলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উক্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ নিহত সুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরন করেছে।
আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ রয়েছে। এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।#