মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা রুখতে সরকারের পাশাপাশি দেশের জনগণকেও আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। পারিবারিকভাবে সন্তানকে যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইডের নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা বিষয়ক গবেষণামূলক প্রতিবেদন ‘কার শহর’ (হুজ সিটি) প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) কমান্ডার মোহাম্মদ মুফতি মাহমুদ খান, বিআরটিএর সচিব মুহাম্মদ শওকত আলী, ঢাকা মেট্রোপলিটন আনসারের পরিচালক হিরা মিয়া, আরবান প্লানিংয়ের প্রফেসর ড. আক্তার মাহমুদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ড. মালেকা বেগম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহানাজ হুদা, ইউএন উইমেনের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটিভ শওকো ইসহিকাওয়া।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, জয় অ্যাপস ও জাতীয় হেল্প লাইন সেন্টার ১০৯ চালু হওয়ায় সহিংসতার হার কিছুটা কমেছে। এসব হেল্প লাইন ও অ্যাপসের বিষয়ে আরও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পাঠ্যপুস্তকে তা সংযোজন করা হয়েছে।
এ সহায়তার বিষয়ে গণমাধ্যমকেও বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে বলে প্রতিমন্ত্রী মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন সূচকের দ্রুত উন্নয়ন হচ্ছে। তথ্য ও প্রযুক্তিতে সফলতার স্বাক্ষর রাখছে দেশের মানুষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিমন্ত্রী গবেষণা প্রতিবেদনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বিশ্বব্যাপী ১৬ দিন ধরে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ উপলক্ষে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৪৫টি দেশে ‘কার শহর’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গবেষণায় বাংলাদেশ, ব্রাজিল, কঙ্গো, জর্ডান, লাইবেরিয়া, নেপাল, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়েতে নগরে নারীর নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে।
এতে নারীর প্রতি সহিংসতার সামগ্রিক পরিস্থিতি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে আইন কাঠামোর উপস্থিতি, নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে বাজেট বরাদ্দের পরিকল্পনা, জেন্ডার সংবেদনশীল নগর পরিকল্পনা এবং জেন্ডারবান্ধব গণপরিবহণ পরিকল্পনা করা হয়েছে।