দুনিয়ার কাজের ওপর নির্ভর করবে পরকালের সফলতা। যার দুনিয়ার কাজ হবে সুন্দর, তার পরকাল হবে সুন্দর। কুরআন এবং হাদিসে এর অসংখ্য বর্ণনা রয়েছে। আল্লাহ তাআলা ঈমানদার বান্দাকে তাঁর আমলের প্রতি মনোযোগী হতে কুরআনে সুন্দর একটি উপমা পেশ করেছেন। যাতে মানুষ কোনো ভাবেই আল্লাহর অনুগ্রহ লাভে গাফেল হয়ে না যায়। মানুষের কষ্টার্জিত ইবাদত-বন্দেগি যাতে সামান্য ভুলের কারণে বা লোক দেখানো ইবাদতের কারণে বার্ধক্যে এসে নষ্ট হয়ে না যায়; সে বিষয়টি বুঝানোর জন্য আল্লাহ তাআলা সুন্দর এক উপমা তুলে ধরে বলেন-
আয়াতের অনুবাদ
আয়াত পরিচি.তি ও নাজিলের কারণ
সুরা বাকারার ২৬৬নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মানুষকে সঠিকভাবে ইবাদত-বন্দেগি করার ব্যাপারে উদাহরণ তুলে ধরে সতর্ক করেছেন। ইবাদত-বন্দেগির ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনায় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এক সতর্কবার্তা।
মানুষের সারা জীবনের উপার্জন এমন এক সংকটকালে ধ্বংস হয়ে যাওয়া কোনো মানুষ পছন্দতো নয়ই বরং চিন্তাই করতে পারে না যখন তা থেকে লাভবান হওয়ার সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কারণ মানুষ যৌবনে কিছু করে জীবিকা অর্জন করতে পারে; যা বার্ধক্যে সম্ভব নয়। আর বার্ধক্যে নতুন করে উপার্জন করা বা উপাজর্ন জমা করার কোনো সুযোগও থাকে না।
ঠিক দুনিয়ায় জীবনভর কাজ করার পর আখেরাতের জীবনে প্রবেশ করে হঠাৎ যদি জানতে পারে যে, দুনিয়ার জীবনের সব কর্মকাণ্ড পরকালে মূল্যহীন হয়ে গেছে; দুনিয়ার যা কিছু অর্জন ছিল হতা দুনিয়াতেই রয়েগেছে। পরকালের উপকারে কোনো কিছু আসেনি। পরকালে নতুন করে উপার্জন করারও কোনো ব্যবস্থা নেই। তখন ওই ব্যক্তির অবস্থা কেমন হবে? এমন চিন্তা-ভাবনা করার কথাই প্রশ্নাকারে ওঠে এসেছে আলোচ্য আয়াতে।
মনে রাখতে হবে
পরকালের কল্যাণে দুনিয়াতে কাজ করার সব সুযোগই রয়েছে। যারা পরকালের সফলতার জন্য সঠিকভাবে কাজ করবে; তারা ঠিকই সফল হবে। আর যারা দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাবে কিংবা পরকালের কাজ ঠিকই করা হয়েছিল কিন্তু তা সঠিকভাবে হয়নি, তাদের জন্যই আল্লাহ তাআলার এ সতর্কবার্তা। উদাহরণ স্বরূপ আল্লাহ তাআলা এ বিষয়টিই তুলে ধরেছেন যে, যৌবনের সব উপার্জন যখন বৃদ্ধ বয়সে নষ্ট হয়ে যায়; তখন ওই ব্যক্তির অবস্থা কি হবে? যাতে রয়েছে পরকালের সফলতার মূলমন্ত্র। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের সফলতা লাভে উল্লেখিত আয়াতটি উপলব্দি করার তাওফিক দান করুন। পরকালের সফলতা লাভে সঠিক পদ্ধতিতে দুনিয়ায় যৌবনের ইবাদত-বন্দেগির প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।