সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন কেন বাড়ানো হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাসচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল (বুধবার) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি কে. এম কামরুল কাদের এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। এর আগে সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন দায়ের করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি। সমিতির পক্ষে রিট আবেদনে করেন ৭ জন।
বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুব্রত রায় বলেন, সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য নিরসনে আমরা এই রিট করেছিলাম। ওই রিটের শুনানিতে আদালত এই আদেশ দেন। তিনি জানান, আইনি প্রক্রিয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। শিগগিরই প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড ও পদোন্নতিপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণ মামলারও শুনানি হতে পারে।
এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষকদের নন-ভ্যাকেশনাল কর্মচারী হিসেবে মর্যাদা চেয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও প্রাথমিক শিক্ষক অধিকার সুরক্ষা ফোরামের আহবায়ক মো. সিদ্দিকুর রহমানের দায়ের করা রিট মামলাটিও চূড়ান্ত শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানা গেছে।